সাধারণত আমলকি, হরিতকি এবং বহেরা সহযোগে বানানো হয় ত্রিফলা। এই তিনটি জিনিসকে যদি একসাথে মিশিয়ে দেওয়া যায় তাহলে এর উপকারিতা আরও বেড়ে যাবে। এই তিনটি জিনিস শরীরের জন্য উপকারী। এই ভেষজ উপাদান, যাতে উপস্থিত একাধিক ভিটামিন এবং মিনারেল ছোট-বড় নানা রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত গ্যালিক অ্যাসিড, ইলেগিক অ্যাসিড এবং চেবুলিনিক অ্যাসিড ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও কাজে আসে।
চলুক জেনে নেয়া যাক ত্রিফলা আমাদের কি কি উপকারে আসে...
1. প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস উষ্ণ উষ্ণ গরম জলে এক চামচ ত্রিফলা গুড়ো এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে শরীরের ওজন কম হয়।
2. মানবদেহের বর্জ্য নিষ্কাশন করা আর ডিটক্সিফাই করায় ত্রিফলার মোকাবেলা আর কেউ করতে পারবে না।
3. রাত্রিরে মাটির পাত্রে জল নিয়ে তার মধ্যে এক চামচ ত্রিফলা গুড়ো মিশিয়ে রাখুন সকালবেলা ছেঁকে নিয়ে পান করুন। চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়বে।
4. ত্রিফলা দেহের ভারসাম্য বজায় রাখে, দেহ পরিষ্কার রাখে আর প্রয়োজনীয় ভিটামিন আর মিনারেলস দেয়।
5. বাচ্চাদের সিসনাল রোগ দূরে রাখতে সহায়তা করে।
6. ত্রিফলা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রতিদিন যারা ত্রিফলার প্রয়োগ করে তাদের চুল সাদা হয়ে যাওয়ার সমস্যা হয়ে না।
7. গবেষণায় দেখা গেছে হাই কোলেস্টেরল লেভেল আর আরথাইটিসের ঝুঁকি কমাতে ত্রিফলা ভূমিকা রাখে।
8. রাত্রিরে মাটির পাত্রে জল নিয়ে তার মধ্যে এক চামচ ত্রিফলা গুড়ো মিশিয়ে রাখার পর সকালবেলা এই জল ছেঁকে চোখ ঢুলে চোখের জ্বালা কমে যায়।
9. ত্রিফলার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে আর বদহজমজনিত সমস্যা দূর করে। নিয়মিত ত্রিফলা সেবন আপনার গ্যাসের সমস্যা চিরতরে দূর করবে।
10. গলব্লাডার আর কিডনির পাথর হবার সম্ভাবনা দূরে রাখে।
11. সকাল-সন্ধ্যা গরম জলের সাথে দু চামচ ত্রিফলা গুড়োর সেবন করলে চর্মরোগ থেকে নিরাময় পাওয়া যায়
12. শরীরে টক্সিন জমার কারণে হওয়া চর্মরোগ যেমন ব্রণ, হোয়াইট হেডস দূরে রাখে।
13. ত্রিফলার জল দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং অন্যান্য রোগ থেকে নিরাময় পাওয়া যায়।
14. ত্রিফলার গুড়ো দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলে দাঁতের সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
15. এর বিভিন্ন এনজাইম আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বার্ধক্যজনিত ভাঁজ পড়ার হার কমায়। আর তারুণ্য বজায় রাখে। ত্রিফলা ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর রাখে।
16. প্রতিদিন ত্রিফলার সেবন করলে নিংশ্বাস নেওয়ার সমস্যা হয়ে না। ফুসফুসে সংক্রমণ হয়ে না।
17. ত্রিফলা অ্যান্টিসেপটিকের মতো কাজ করে। এর জল দিয়ে ক্ষত স্হান ধুলে ক্ষতস্হান তাডাতাড়ি ঠিক হয়ে যায়।
18. ত্রিফলায় আমলকী আর হরিতকী চুল পড়া কমায়। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
19. ত্রিফলা আপনি হেয়ার প্যাকে মিশিয়ে ব্যবহার করেও ব্যবহার করতে পারবেন। এটা মাথার ত্বকের খুশকি আর বিভিন্ন দূষিত পদার্থ দুর করে ত্বক সুস্থ রাথে আর আপনাকে সিল্কি সুন্দর চুল দেয়।
20. ত্রিফলা অগ্ন্যাশয়কে সক্রিয় করে। যার ফলে রক্তে ইনসুলিনের উত্পাদন বাড়ে এবং সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ত্রিফলা সেবনের উপায়ঃ
ত্রিফলা চুর্ন জলে ভিজিয়ে খেতে পারেন। সেক্ষেত্রে রাতে পরিমান মত ত্রিফলা ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে ছেকে খেয়ে নিন।এছাড়া নিয়মিত সেবনের জন্য ত্রিফলার গুঁড়া ব্যবহার করাই উত্তম। এক্ষেত্রে প্রতি রাতে এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ ত্রিফলা গুঁড়া ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে পানিটা খেয়ে নেয়া যেতে পারে। এছাড়াও ত্রিফলার সাপ্লিমেনট পাওয়া যায় বাজারে। গুঁড়া না সাপ্লিমেনট ব্যবহার করতে পারেন।
ভিডিও দেখে নিন ...
Nice post. Trifola is very good food. Keep posting good post regular.
ReplyDeleteThanks for visit my blog.
Delete