পায়ের নখ ভেতরের
দিকে বৃদ্ধি পাওয়াকে নক কুনি বলে যা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। যা খুবই অস্বস্তি ও প্রচন্ড ব্যথার সৃষ্টি করে। যখন পায়ের নখের
কোনার অংশ বা প্রান্তের অংশ নরম মাংসের ভেতরের দিকে প্রবেশ করে তখনই একে নখে কুনি
বলা হয়ে থাকে।
নখকুনি হওয়ার
কারণঃ
সঠিক জুতা না পড়লে, নখ সঠিক ভাবে না
কাটলে, নখে ব্যথা পেলে
এবং অস্বাভাবিক বাঁকানো নখ থাকলে এই রোগটি হতে পারে। ডায়াবেটিস ও হরমোনজনিত
স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে পায়ের রক্ত সংবহন কমে যায় ফলে পায়ের নখের এই সমস্যা হওয়ার
ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। এছাড়া এই ধরণের রোগ জিনগত কারণে হতে পারে।
নখকুনির ঘরোয়া
প্রতিকারগুলো জেনে নেই আসুনঃ
১। ঈষদুষ্ণ জলে কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখলে নখকুনির ব্যথা ও
ফোলা কমে যায়। পানিতে পা ডুবিয়ে বসে থাকুন ১৫-২০ মিনিট। দিনে ৩-৪ বার এটি করতে
পারেন।
২। নখ সোজা ভাবে
কাটুন, পায়ের
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, বাহির থেকে আসার
পর পা ভালো করে ধুয়ে মুছে নিন, আরামদায়ক ও পায়ের
মাপ মত জুতা পরুন, প্রতিদিন স্নানের
সময় ঝামা পাথর দিয়ে পা ঘষুন যাতে পায়ের ত্বক শক্ত হয়ে না যায় এবং প্রতিদিন
পরিষ্কার মোজা পড়ুন।
৩। স্নান করার আগে
বা রাতে শুতে যাওয়ার আগে আপনার পায়ের নখে ও তার চারপাশে ব্যথা হওয়া অংশে নারকেল
তেল লাগান। ১৫- ২০ মিনিট পর হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে ভালো করে আপনার পায়ের নখ ও তার
আশেপাশের অংশ ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনি আরাম পাবেন ও খুব তাড়াতাড়ি যন্ত্রণা সেরে যাবে।
৪। অলিভ অয়েলও আপনার
নখকুনি সারিয়ে তুলতে ও এর যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে।
৫। নখ ও তার
চারপাশের যে কোনো রকম ইনফেকশন বেকিং সোডার ব্যবহারে খুব তাড়াতাড়ি সেরে ওঠে।
৬। নখে হওয়া যেকোনো
ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে ইপসম লবণ অত্যন্ত উপকারী।
৭। সরিসার তেল ও রিসিন একসাথে গরম করে পাগালে নক কুনি সেরে যায়।
তবে অনেক সময়
অতিরিক্ত বেশি ব্যথা বা ফুলে যাওয়া বিপদজনক হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কিন্তু
চিকিৎসকের পরামর্শই জরুরী। তবে এই উপায়গুলি অবলম্বন যদি আপনি নিয়মিত ও সঠিক উপায়ে
করেন সেক্ষেত্রে আপনি এই ধরনের সমস্যা খুব সহজেই এড়িয়ে চলতে পারবেন।
নক কুনির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সরিসার তেলে ও রসুন কিভাবে ব্যবহার করবেন ভিডিওতে দেখে নিন।
নক কুনির সমস্যা কেন হয় ও এর থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিন
Reviewed by The Bong Media
on
December 07, 2018
Rating:
No comments: