মুখে ব্রণের কালো দাগের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। সাধারণত ব্রণ, ফুসকুড়ি সেরে
যাওয়ার পর মুখের ত্বকে এই ধরনের কালো দাগ রেখে যায়। মুখের মধ্যে এমন দাগ থাকলে যে
বিশ্রী দেখায়, তা বলাই বাহুল্য। ঠিকঠাক চিকিৎসায়
ব্রণ এবং দাগের হাত থেকে মুক্তি মেলে ঠিকই, কিন্তু তার জন্য
যেসব ওষুধ বা ক্রিম জাতীয় জিনিস ব্যবহার করতে হয় সেগুলি ব্যয়বহুল। সবচেয়ে ভাল হয়, কোনও প্রাকৃতিক উপায়ে দূর করা যায় এই ধরনের
কালো দাগ। এখানে এমনি ৩টি উপায় আপনাদের জানানো হচ্ছে যা ব্যবহার করলে খুব সহজেই ব্রণের কালো দাগ দূর করা যাবে।
১। লেবুর ব্যবহার
প্রাকৃতিক
ব্লিচিং উপাদান হিসেবে লেবু সবচাইতে ভালো একটি উপাদান। ত্বকের যেকোন ধরণের দাগকে
হালকা করে ফেলার ক্ষেত্রে সবচাইতে ভালো কাজ করে থাকে লেবু। একই সাথে ত্বকের মরা
চামড়া দূর করে ত্বকে নতুন কোষ তৈরিতে, ত্বকের নমনীয়তা
বৃদ্ধিতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল দেখাতে সাহায্য করে থাকে।
ব্যবহারবিধি
সমপরিমাণ লেবুর
রস ও মধু একসাথে ভালোভাবে মেশাতে হবে। তুলার বলের সাহায্যে ত্বকের দাগযুক্ত স্থানে
লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট সময়ের জন্য রেখে দিতে হবে। এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে খুব
আলতোভাবে মুখ মুছে নিতে হবে। প্রতিদিন এইভাবে লেবু ব্যবহার করতে হবে।
২। নারিকেল তেলের ব্যবহার
প্রাকৃতিক উপাদান
নারিকেল তেলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড সমূহ, যা ত্বকের কোষের ক্ষতিপূরণ করতে, ত্বককে সুস্থ রাখতে এবং ত্বকের দাগ দূর করতে
সাহায্য করে থাকে। একইসাথে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং ত্বককে নমনীয় রাখার
জন্যে নারিকেল তেল খুব ভালো কাজ করে থাকে।
ব্যবহারবিধি
নারিকেল তেল
সরাসরি ত্বকের দাগযুক্ত স্থানে লাগিয়ে ৫-১০ মিনিট সময় নিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে।
ম্যাসাজ করার পড়ে অন্তত এক ঘন্টার জন্য ত্বকে তেল রেখে দিয়ে এরপর কুসুম গরম পানি
দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
৩। নিম পাতার ব্যবহার
প্রথমেই নিমপাতার পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তারপর হালকা করে বরফ ঘষুন।
দাগের জন্য টক দই, কেওলিন পাউডার এবং
লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে দাগে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ।
২ সপ্তাহের মধ্যে মুখের ব্রণের কালো দাগ দূর করতে এই ভিডিওটী দেখুন
No comments:
Post a Comment